কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলে হলুদ-মরিচ গুড়া ভাঙ্গানো মিলে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ২৫ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে উপজেলাগুলোর পৌর শহরসহ হাট-বাজার গুলোতে জনচলাচলে এলাকার পরিবেশ দূষণ ও মানবদেহে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার অভিযোগ উঠেছে হলুদ-মরিচের গুড়া ভাঙ্গানো মিল মালিকদের বিরুদ্ধে।
বিশেষ করে লাকসাম পৌরশহরের পুরাতন দৈনিক বাজার এলাকায় যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে ওইসব মিল।
উপজেলা গুলোর ভুক্তভোগীদের একাধিক সূত্র জানায়, এ ব্যাপারে বহুবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বিশেষ করে উপজেলা গুলোর প্রতিটি হাট-বাজারে ধান ভাঙ্গানোর মিল কিংবা নতুন নতুন প্রযুক্তি নির্ভর নানা ব্র্যান্ডের ছোট ছোট মিল বসিয়ে চাউলের গুড়া, হলুদ, মরিচ, ডাল ও মসল্লার গুড়া ভাঙ্গানো হচ্ছে।
তবে পৌর শহর দৌলতগঞ্জ পুরাতন দৈনিক বাজারের চারপাশের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত নাজুক অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে। ওইসব মিল চলাকালে বাতাসে হলুদ মরিচের গুড়া ও ঝাঁজ উড়ে এসে ব্যবসায়ীদের দোকানে পড়ে এবং পথচারীদের চলাচলের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়। কে শুনে কার কথা, ওইসব মিল মালিকদের দৌরাত্ব প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মহামারী করোনাকালেও তাদের দৌরাত্ব কমাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কোন সংস্থার লোকজন।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ওইসব মিলে ভাঙ্গানো হলুদ মরিচের গুড়া বাইরে বাতাসের সাথে মিশে এলাকার পরিবেশ দূষণ এবং এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে। এর ফলে এলাকার নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের শ্বাসকষ্ট, চোখের নানা সমস্যা, নিউমনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছেন কেউ কেউ।
জনচলাচলে পথচারী কিংবা ব্যবসায়ীদের এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
স্থানায় ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়, এ অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠা ওইসব মিলগুলোর মালিকরা সরকারি কোন নিয়মনীতি মানছে না। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে স্থানীয় পেশী শক্তির বদৌলতে তাদের এসব ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা।
প্রতিনিয়ত ওইসব এলাকার সড়ক দিয়ে হাজার হাজার পথচারী চলাচল করলেও ওইসব মিলে নেই কোন সর্তকতা কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওইমিল গুলোর পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারী ও আশে পাশের ব্যবসায়ীদের। জনসাধারনের এ ভোগান্তিতে যেন কোন সংস্থার মাথাব্যাথা নেই।
এব্যাপারে জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।