বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ গোলাগুলি, আহত- ৭৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৬ পিএম, ২০ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এসব ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. সজিব তরফদার ও অহেদ মোস্তফা বাপ্পি শেখের সমর্থকদের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।
তাদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উভয় পক্ষের সাতজনকে খুলনা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় গতকাল ভোরে ডেমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরফদার মকবুল (৭১), জসি মল্লিক (২৬), মল্লিক সুজাউদ্দৌলা রচি (৪০) ও মকবুল চেয়ারম্যানের মেয়ে মাকসুরা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মকবুল চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত একটি বন্দুক জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে শরণখোলা উপজেলায় ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পৃথক দুটি সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪২ জন আহত হন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের সভায় হামলা চালায় বর্তমান ইউপি সদস্য ডালিমের সমর্থকরা।
এতে চার নারীসহ ২২ জন আহত হন। একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আলামিনের মিছিল থেকে বর্তমান ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম হালিমের সমর্থকদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের সাত নারীসহ ২০ জন আহত হন।
আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান।
এদিকে চিতলমারী উপজেলা চত্বরে কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা মিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর সিদ্দিকী এবং তার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে আলমগীর সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রার্থী ও সমর্থকের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শরণখোলা সাউথখালীতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শরণখোলা ও চিতলমারীতে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে সহিংসতা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
১১ এপ্রিল বাগেরহাটের নয় উপজেলায় ৭৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৭০টিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।