বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতেও বিভক্ত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১৯ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ও দলীয়ভাবে ব্যাপক জাকজমকপূর্ণভাবে সারাদেশে পালিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত বুধবার (১৭ মার্চ) জেলা সর্বত্র আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিনটি পালন করেছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এক ব্যানারে অনুষ্ঠানটি করতে পারেনি। ফলে দলের ভেতরের অভ্যন্তরীন কোন্দল ও বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক ব্যানারে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কর্মসুচি পালন করলেও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী সেই কর্মসূচিতে যোগ দেননি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ১৬ ও ১৭ মার্চ আলোচনা সভা, র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন না মেয়র আইভী। এ নিয়ে দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
১৭ মার্চ শহরের দুই নাম্বার রেলগেইটস্থ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কেক কাটার সময় আইভীপন্থী হিসেবে পরিচিত জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, এড. আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, ধর্ম সম্পাদক ইসহাক মিয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, সদস্য শামসুজ্জামান ভাষানী গংদের দেখা গেছে। কিন্তু আসেননি মেয়র আইভী।
মেয়র আইভী তিনি পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি আতজবাজি ফুটিয়েছেন। এর মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভাজন আবারো প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
যদিও দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জেলা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ (৬ পদ বাকী) হওয়ার পর থেকেই আইভীপন্থীরা দলীয় নানা কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে গড় হাজির (দু-একটি ছাড়া) ছিলেন। তবে তারা আশা করেছিলেন অন্তত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে জেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতা-নেত্রীকে এক প্লাটফর্মে দেখা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামীলীগের এই বিভাজন দলের সাংগঠনিক ভীতকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীন কোন্দল এখন চরমে। আর নেতানেত্রীর মধ্যে দুরুত্বের কারণে বিএনপি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তারাও চাচ্ছেন আওয়ামীলীগের বিভাজন যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে দলের দু:সময়ে রাজপথে বিরোধী শিবিরকে মোকাবেলায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। তাই দল ক্ষমতায় থাকতে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চলমান বিরোধ মিটিয়ে দেয়ার জন্য দলের হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।