দুদকের জালে সেই রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ পিএম, ১৭ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী (সাময়িক বরখাস্ত) রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে এবার জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও একই সাথে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়েরর সিদ্বান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৪ মার্চ দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় পৃথক দুটি মামলা করার অনুমতি দেয়া হয়।
প্রথম মামলায় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখা ও তথ্য গোপন করে মিথ্যা সম্পদের বিবরণী দেয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হবে। পৃথক আরেকটি মামলায় রেজাউল করিমের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা করার অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের জমি লিজ, ঘাট ইজারা, ডাকবাংলোর ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতের মোট ৭৮ লাখ ৪ হাজার ১৩০ টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ মিলেছিল। আত্মসাৎকৃত সেই টাকা আদায়ের নির্দেশসহ দুর্নীতিগ্রস্থ এই কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা, ১৯৯০ অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
কেবল টাকা আত্মসাতই নয় রেজাউল করিম চাকরিতে প্রবেশ করেছিলেন প্রতারণার মাধ্যমে। জাল সার্টিফিকেটে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। জাল সার্টিফিকেটে চাকরিতে ঢুকে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের এক মামলায় কারাগারেও গিয়েছেন তিনি। ওই অভিযোগে চাকরি থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।
২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদে উচ্চমান সহকারী পদে যোগদান করেন চাঁদপুর জেলার মতলব থানার চরলক্ষীপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দীকের ছেলে রেজাউল করিম। যোগদানের ২৪ দিনের মাথায় ২৪ অক্টোবর বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে যোগদান করেন। চাকরির ১৭ বছর পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রেজাউল করিমের সার্টিফিকেট জমা না দিয়ে চাকরি নেয়ার বিষয়টি। এ ঘটনায় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর উপ সহকারী পরিচালক ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। এরপর আদালতে জামিনের আবেদন করলে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. শওকত আলী চৌধুরী তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।