বগুড়ার মমইনসহ তারকাখচিত দুটি হোটেলে জরিমানা ৮ লাখ টাকা

পাঁচ তারকা খচিত বগুড়ার হোটেল মমইন ও তিন তারকা নাজগার্ডেনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে উভয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পৃথকভাবে ৪ লাখ করে মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রান্নাঘর অপরিষ্কার, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যজাত পণ্য সংরক্ষন, তৈরীকৃত পেষ্টিজাত খাদ্যের লেবেল না থাকাসহ বেশ কয়েকটি কারন দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটিকে জরিমানা করা হয়। 

আজ সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে শহরতলীর ঠেঙ্গামারায় অবস্থিত এনজিও সংগঠন টিএমএসএস এর মালিকানাধীন পাঁচ তারকা খচিত হোটেল মমইন এ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। 

বগুড়া জেলা নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক জানান, যে সকল খাদ্যজাত পণ্য মজুদ করে রাখা হয়েছে তার মধ্যে মাংসসহ বেশ কয়েকটি খাদ্যজাত পণ্য ও বোতলে রাখা তরল ফুডকালার মেয়াদোত্তীর্ণ পাওয়া গেছে। যা নিরাপদ খাদ্য আইনের পরিপন্থী। ২০১৩ বিধানে নগদ জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। আইন অনুযায়ী নগদ জরিমানা করা হয়েছে। এ কারনে প্রতিষ্ঠান দুটির কাছ থেকে ৪ লাখ করে ৮ লাখ টাকা নগদ জরিমান করা হয়েছে।

এর আগে বেলা দেড়টার দিকে শহরতলীর ছিলিমপুরে অবস্থিত তিন তারকা হোটেল নাজগার্ডেনেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একই টীম এ অভিযান পরিচালনা করে। একই অভিযোগে হোটেল নাজগার্ডেনকেও ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের সকল স্থানে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

অভিযানের সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের মনিটরিং কর্মকর্তা আসলাম আলী, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেনেটারী কর্মকর্তা রাম প্রসাদ সাহাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।