১২ বছরে সরকার গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে- টুকু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪২ এএম, ১৫ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সরকার এখন সত্য বললেই সাংবাদিকদের নির্যাতন করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। যখন বাকশাল করা হয়েছিলো, তখনও এভাবে গণ্যমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা সারাদেশের তৃণমূলের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত সত্য মানুষের কাছে তুলে ধরবো। জোর করে ক্ষমতায় থেকে গত ১২ বছরে সরকার গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। তারা এখন চায় বিএনপি অস্ত্রের ব্যবহার করে আন্দোলন করুক। কিন্তু না, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটাবো।
আজ রবিবার দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কুমিল্লা বিভাগের সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে নগরীর ধর্মসাগর পাড়স্থ তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভার আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটি। সভার সঞ্চালনা করেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আবদুস সালাম বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস জানাতে চাই। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সারাদিন মিথ্যাচার করলেও মামলা হয় না। অথচ তাদের কাউকে নিয়ে সত্য কিছু বললেই আইসিটি আইনে মামলায় ফাঁসানো হয়। এই আইন করা হয়েছে গণমানুষের ও সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শামা ওবায়েদ জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিএনপি পক্ষ থেকে ৩০টি কমিটি গঠন করেছে। যার একটি হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটি। এই কমিটির মাধ্যমে আমরা বছরব্যাপী সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো পালন করবো। মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত সত্য জানাবো।
সভার সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বলেছেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের কন্ঠরোধ করতে চায়। সরকার মনে করে তারাই মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক ও বাহক। অন্য আর কিছুই না। অথচ সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে দিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ এই ঘোষণার ফলে সারা দেশের বিপন্ন মানুষ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত হয়েছিল এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি ইতিহাসে যার যে অবদান আছে তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার ফারজানা পুতুল, মাহবুবা আক্তার, কুমিল্লা মহানগর বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান আমীর, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হাজি সফিউল আলম রায়হান, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ছুটি, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারসহ কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্তরের বিএনপির নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কুমিল্লা বিভাগীয় মিডিয়া কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোস্তাফা জামান, সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক অধ্যাপক সারোয়ার জাহান দোলন সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।