বাকশাল কায়েম করায় এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বয়কট করেছিলো : টুকু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:২০ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
১৯৭৫ সালের ২৫জানুয়ারী তৎকালীন শাসক শেখ মুজিবুর রহমান ১১ মিনিটে শাসনতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। সে সময়ে এক রাষ্ট্র এক রাজা ঘোষনা দিয়েছিলেন। এজন্য বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় নিয়ে আসেনি। ১৯৯৬ সালে বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা কৌশল অবলম্বন ও তসবীহ হাতে নিয়ে জনগণকে ভূল বুঝিয়ে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর এই প্রধানমন্ত্রীর একই অবস্থা দেখে আবারও জনগণ আওয়ামী লীগের দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বলে আজ বুধবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার আমলেও দেশে চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো। এখন আবারও দেশ এই পথে হাটছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দিনরাত উন্নয়নের কথা বলে। কিসের উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে কনক্রিটের। জনগণের জীবন মানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে জগণের মাথাপিছু ঋণ। ঋণ করে এই সরকার ঘি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। নিজেদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য মেগা প্রকল্প দেখিয়ে বিদেশ থেকে ঋণ করে এনে সে টাকা লোপাট করছে। এই টাকার সুদ ও এমপি, মন্ত্রী ও দলীয় নেতাকর্মী এবং আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে জনগণের উপর প্রতিদিন ট্যাক্সের হার বৃদ্ধি করছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি করে কলকারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে করে দেশে বেকার সমস্যা বেরে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি বলেন, আগামী ২৯ তারিখ রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভা হবে। এ লক্ষ্যে বাস, ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন ফ্রিসহ বিভিন্ন নতুন নতুন রুট সৃষ্টি করেছে। সকল সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জনসমাবেশে আসতে। এ লোকজনকে নিয়ে আসার জন্য তাদের জন্য খাওয়া ও টাকার ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এত কিছু করেও সমাবেশে লোক হবেনা বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপির সকল সমাবেশ ঘিরে এই অবৈধ সরকার নানা ভাবে হয়রানী করেছে, এখনো করছে। সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছিলো। সমাবেশ স্থলে যেতে দেয়নি। মঞ্চ করতে দিয়েছে একদিন পূর্বে। এরপরেও বিএনপির প্রতিটি সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিলো। আগামীতেও হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনসভা করবে খুব ভাল কথা। কিন্তু এতে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা কি করেছে। তাদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ডিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যা হামলা করছে। ঘরের দরজায় লাথি মারছে। বিএনপির সমাবেশের সময়ও তারা এরকমই করেছিলো। আবার এখনো করছে। এটা আসলে রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে এগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবী জানান। দাবী না মানলে আগামী নির্বাচনে কেউ আসবেনা উল্লেখ করে আগামীতে সরকার পতনের আন্দোলন আরো বেগমান করা হবে বলে জানান তিনি। সেই সাথে গ্যাস ও বিএনপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের কাউন্টার সমাবেশ করার প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ঘোষণা দেন প্রধান অতিথি।
রাজশাহী ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্কে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধাওে ১০দফা দাবী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও রাজবন্দ্রীদের মুক্তি, দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দীবে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগর বিএনপির সদস্য সািচব মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও নির্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সাবেক এমপি জাহান পান্না।
এছাড়াও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, তাজমুল তান টুটুল, তোফায়েল হোসেন রাজু, জাকিরুল ইসলাম বিকুল, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সারেবক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, বর্তমান আহ্বায়ক মীর তারেক, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত ও মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি।
এছাড়াও মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন ও মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুন নাহার, জান্নাতুণ ফেরদৌস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুলেমা বেলী, মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুর্ত্তযা ফামিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভ সহ রাজশাহী বিভাগের মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।