বগুড়ায় ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ১২ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলেছে বগুড়ায়। এসব ঘটনায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা, মারপিট, সংঘর্ষ, একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোধগারের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে আসছে।
এসব ঘটনায় বগুড়াবাসী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকলেও সবকিছুই নিয়ন্ত্রনেই রয়েছে বলেই দাবী করছে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে জেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার ধুনটে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাবার পথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ও সদস্য জাহিদের সাথে মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে সেখানেই মিটমাট হয়। ধুনটের কর্মসূচি শেষ করে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা শহরের সাতমাথায় ফিরে আসে। রাত ৯ টার দিকে সাতমাথার পার্কিং এলাকায় পুনরায় কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে জাহিদ ও তাকবির। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের ছেলেদের মধ্যে শুরু ব্যাপক সংঘর্ষ।
এসময় মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় উভয় গ্রুপের ৯ জন আহত হয়। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির, সদস্য জাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা দুলাল, রাজন, শান্ত, ইমন, শাফিন, হাবিব, সানজীদ।
রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস গনমাধ্যমে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে এখনও বিস্তরিত জানা যায়নি। তবে তাদের ব্যক্তিগত কোন বিষয় থেকেই ঘটনাটি ঘটতে পারে। এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, কথা-কাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
এছাড়া দুদিন পূর্বে বগুড়ার ধুনটে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
তার একদিন আগে শহরের সাতমাথায় অবস্থিত জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরও দুই দিন পূর্বে সোনাতলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।