সমঝোতা না হওয়ায় আটকে আছে তিস্তা চুক্তি - পররাষ্ট্র সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ এএম, ৬ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০২ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। একারণে তিস্তা চুক্তি আটকে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আজ শুক্রবার খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তবে আমরা আশাবাদী। আগামী ১৬ মার্চ ভারতের পানিসম্পদ সচিবের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এরপর দু’দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রীদের বৈঠক হবে। আমরা আশাবাদী বৈঠকগুলো হলে তিস্তাসহ ছয় নদীর ব্যাপারে সমঝোতা হবে।’
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা রামগড়ের মহামুনিতে ফেনী নদীর ওপরে নির্মিত মৈত্রী সেতু-১ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের উৎসবে শামিল হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ফেনী নদীর ওপরে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী-১ সেতুটি উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরো বলেন, সেতুটির উদ্বোধন হলেও সেতুর কার্যক্রমে আরো আনুষ্ঠানিকতা রয়ে গেছে। সেতুটির ফলে দু’দেশের সম্পর্কে অনেক অগ্রগতি হবে।
পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গোয়েন্দা দফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আতিকুর রহমান, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন, রামগড় জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ারুল মাযহার, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মুহাম্মদ ফয়সালসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের আন্তর্জাতিক মানের সেতুটি গত ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে নির্মাণকাজ শুরু করে দীর্ঘ তিন বছর পর গত জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ করে।
২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ শেষ হয়েছে, এখন উদ্বোধনের পালা।