অনাহারে দিন কাটাচ্ছে গ্রাম পুলিশ, বকেয়া বেতনের দাবীতে তালতলীতে গ্রাম পুলিশের অবস্থান কর্মসূচী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১২ এএম, ৩ মার্চ,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৩ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বরগুনার তালতলী উপজেলার ৬৯ জন গ্রাম পুলিশ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
আজ মঙ্গলবার তালতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসুচী পালন করা হয়। গ্রাম পুলিশ এবং তাদের পরিবার পরিজনরা এ কর্মসূচীতে অংশ নেন। পরে তারা বেতন ভাতার দাবীতে ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলায় ৬৯ জন গ্রাম পুলিশ রয়েছে। তারা উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেতন এবং থানায় হাজিরা ভাতা পেয়ে থাকেন।
গত ১৫ মাস ধরে তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া বেতনের অংশ এবং ২৩ মাস ধরে থানায় হাজিরা ভাতা পাচ্ছেন না। এ বেতন ভাতা না পাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বকেয়া বেতন ভাতা পাওয়ার দাবীতে মঙ্গলবার উপজেলার ৬৯ গ্রাম পুলিশ ইউএনও অফিস প্রাঙ্গণে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ দফাদার মোঃ সোলায়মান তালুকদার, চাঁন মিয়া গাজী, আনোয়ার হোসেন এবং গ্রাম পুলিশ রুস্তুম আলী, সৈয়দ আহম্মেদ ও আসাদুল হাওলাদার প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল- কবির জোমাদ্দার ও ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান তাদের দ্রুত বেতন ভাতা প্রদানের আশ্বাস দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র আশ্বাসে তারা অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।
পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন দফাদার মো সোলায়মান তালুকদার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, পকেটে টাকা নেই, পেটে ভাত নেই, সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছিনা। পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিনাদিপাত করছি। দোকানের বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় কোন দোকানদার আমাদের বাকীতে মালামাল বিক্রি করে না। দিন রাত খেয়ে না খেয়ে আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।
ইউএনও স্যারের কাছে দ্রুত আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আবেদন জানিয়েছি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদের অংশের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হয় এক পার্সেন্ট এর টাকা থেকে এবং হাট-বাজারের ইজারা ৪১ পার্সেন্টের টাকা থেকে। তবে হাট-বাজারের ইজারার সম্পূর্ণ টাকা এখনো আদায় হয়নি। হাট-বাজারের টাকা আদায় হলে ওখান থেকে তাদের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হবে। তবে গ্রাম পুলিশের বকেয়া বেতনের টাকা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।