জামালপুরে গাছের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৪ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
জামালপুরে এক তরুনীর গাছের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তরুনী সামিয়া আক্তার (১৩) শহরের পাথালিয়া গ্রামের সফুর মিয়ার মেয়ে। সে শাহজামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কের পাশে শহরের মনিরাজপুর জামতলী এলাকায় একটি মেহগনি বাগান থেকে তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সামিয়ার বাড়ি থেকে মনিরাজপুর জামতলী এলাকার মেহগনি বাগানটি ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। মেহগনি গাছের বাগানটি একজন ব্যাংক কর্মকর্তার বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফেরার সময় গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুনীর মরদেহটি দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে যে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
তিনি আরো জানান, মেয়েটি দুই মাস আগে থেকে তার বাসায় থাকে না। কেনো বাসায় থাকে না বা কোথায় থাকে এখনও জানা যায়নি। তবে এই বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পরই সবকিছু জানা যাবে বলে জানান তিনি।
নিহত সামিয়ার মা জয়নব জানান, গত সাত মাস আগে বাগেরহাটা বটতলা এলাকার জনি নামের এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায় সামিয়া। কিছুদিন থাকার পর জনি সামিয়াকে ছেড়ে দেয়। তাদের বিয়ে হয়নি। এরপর শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো সামিয়া।
তিনি আরো জানান, নুরুল ইসলামের স্ত্রী আমাকে বোন বানিয়ে ছিলো। তাই সামিয়া তাদের বাড়িতে থাকতো। গত তিন দিন আগেও আমি সামিয়ার সাথে দেখা করে ছিলাম। আজ সকালে শুনি যে আমার মেয়ে মারা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাথালিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সামিয়া অনেক আগে থেকেই তাদের বাড়িতে থাকে না। গতকাল সামিয়া তার নিজস্ব ফেইস বুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। সেখানে লেখা ছিলো যে, এই রঙ্গিন দুনিয়ায় আর থাকতে চায় না। তবে তার ফেইসবুক আইডির কোনো সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।