বগুড়ার বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বহিস্কৃত আ’লীগ নেতা মান্নানকে গ্রেফতারের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৩ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ার বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী। বগুড়ার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) ৩১ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারী করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দেয়া হয়।
দুদক বগুড়ার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, এসআইবিএলের ৩১ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। এতে আব্দুল মান্নান আকন্দ অনুপস্থিত থাকার জন্য আবেদন দিয়েছিলেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। ৩১ কোটি টাকা দুর্নীতির এই মামলায় আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন ব্যাংকের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, আতিকুল কবির, মাহবুবুর রহমান, জালিয়াত চক্রের সদস্য. আকতার হোসেন. জহুরুল হক, এনামুল হক, মাকসুদুল হক, ফেরদৌস আলম। বৃহস্পতিবার আদালতে আব্দুল মান্নান আকন্দ বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত ও অপরাধী চক্রের অন্যতম হোতা হিসেবে ব্যাংকের বগুড়া শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শাখার ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট. আতিকুল কবির, বগুড়া শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা. মাহবুবুর রহমানের যোগসাজশে ব্যাংকের গ্রাহকদের হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
সূত্রে জানা গেছে, এই মামলা তদন্তের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শুরু করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আখতার হামিদ ভূঞা। এরপর এ মামলার তদন্ত করেন উপপরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। পরে ২০১৪ সালের ৪ জুন তিনি আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরে দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের (বগুড়া) তৎকালীন উপপরিচালক (বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) মো. আনোয়ারুল হককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আনোয়ারুল এ ঘটনা তদন্ত করে নয়জনের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন ২০১৭ সালের আগস্ট।
সেই মামলায় চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার।
উল্লেখ্য, আসন্ন বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে আব্দুল মান্নান আকন্দ স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় পৌর আওয়ামী লীগের চার নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান আকন্দকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।