মহিপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৭ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি মহিপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ স্নাতক প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করে দেওয়া ফির বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ৪৮৪৫ ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছেন কলেজ কতৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে ছাত্রনেতাদেরও একাংশ সহযোগিতা করারও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে তাদের পরিবার এখন আর্থিক সংকটে পড়েছে। এজন্য ফি অর্ধেক নেওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তার উল্টাটা ঘটছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত ফি ধার্য করছে, যা তাদের উল্টো 'গলার কাঁটা' হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ নিকট এ বিষয়ের জানতে চাইলে, তারা জানান করোনা সংকটের কারণে কলেজের কর্মচারী এবং অন্যান্য খরচের জন্য এসব ফি নেওয়া হচ্ছে। এসব ফি আদায় না করলে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়াও যে কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি তাদের আনুসঙ্গিক ফি কম ধার্য করলেও সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে তাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু এই কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়ার কারনেই আনুসঙ্গিক ফি বেশি ধার্য করতে হয়। বিগত দিনেও একইভাবে ফি ধার্য করা হয়েছিল। গরিব ছাত্রদের জন্যে বিবেচনা করার সুযোগ থাকলেও বিষয়টি রাজনৈতিক হয়ে যায়।
আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত ফিটা শুধুমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত কোন ফি তাদের ফান্ডে জমা হবেনা।
গত ৮ তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষতির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরমপূরণ শুরু হয়ে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আর ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। ফি বাবদ মোট ১ হাজার ৮৭০ টাকা দেওয়া কথা ওই বিজ্ঞপ্তিতে করা হয়েছে।