দৌলতপুরে কাজী আরেফ, ইয়াকুব সহ জাসদের ৫ নেতার ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১২ পিএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর মরিচা পি এম কলেজ মাঠে জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহম্মেদ, এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী সহ ৫ জাসদ নেতার ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এ উপলেক্ষে সকাল ৯ টায় পি এম কলেজ চত্বরে এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলীর কবরে পুষ্পমালা অর্পন, কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়।
কলেজ চত্বরে শহীদ ইয়াকুব আলী কল্যান ট্রাষ্টের সভাপতি জাতীয় যুব জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আঃ কাঃ মঃ সরোয়ার জাহান বাদশা, বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন জাসাদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আলিম স্বপন, দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এজাজ আহাম্মেদ মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাহ্ব হায়দার আলী, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (টকন), প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, জাসদ নেতা অসিত কুমার সিংহ রায়, ইয়াকুব আলীর পুত্র ইউসুফ আলী, চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল হক।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখানে দৌলতপুর উপজেলা জাসদের সভাপতি সইর উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক আশরাপুল ইসলাম নান্নু, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুর রাহমান, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, আব্দুল আজিজ, চাঁদ মাহমুদ, আতিয়ার রহমান, রমজান আলি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী একটি সভা চলার সময় ব্রাশ ফায়ারে জাতীয় সমাজতান্দ্রিক দল- জাসদের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় নেতা সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ ছাড়াও নিহত হন তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরায়েল হোসেন এবং শমসের মণ্ডল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে সময় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।