নিহতের বড়ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ড, খালাস ১জন
কুড়িগ্রামে আদালতের কাঠগরায় আসামীদের ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০২ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারীতে গভির রাতে একই পরিবারের ৪জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় নিহতের বড়ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বিজ্ঞ কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সাজা প্রাপ্ত আসামীরা রায় ঘোষনার সাথে সাথে কাঠগরায় থাকা গ্লাসের বেস্টনী ভাংচুর করে। খালাস প্রাপ্ত আসামী হলেন নাইনুল ইসলাম। আর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন- আসামী মমতাজ উদ্দিন, নজুরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, হাসমত আলী শেখ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন।
এ সময় মোট সাত আসামীর মধ্যে ৬ জন উপস্থিতল ছিল। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত এক আসামী শুরু থেকে পলাতক রয়েছে। তিনজন জেলে ও তিনজন জামিনে থেকে আদালতে হাজির ছিলেন। আসামীদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষিত হলে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা কাঠগরার গ্লাসের নিরাপত্তা বেস্টনী আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলেন। এতে তাদের হাত কেটে রক্তাত্ত হয়। পরে তাদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারী ভোরে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মন্ডল, নাতনী রোমানা ও আনিকার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ শোবার ঘরে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিতে মারা যায় স্ত্রী হাজেরা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাফিজুুর রহমান অজ্ঞাত আসামী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন। পরে একই এলাকায় চান্দ মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা সুলতান হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। নিহত সুলতানের ভাই মমতাজ ভাড়াতে খূনি দিয়ে এদের রাতে হত্যা করে বলে স্বীকার করলে মামলার মোর ঘুরে যায়। পরে পুলিশ ৭জনের নামে সার্চশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন ও আর্গুমেন্টের পর মঙ্গলবার এক জনাকীর্ণ আদালতে জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষনা করেন।
আসামী মমতাজ উদ্দিন, নজুরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী, হাসমত আলী শেখকে ফাঁসি এবং নাইনুল ইসলামকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন- পিপি এডভোকেট এস.এম.আব্রাহাম লিংকন আসামী পক্ষে ছিলেন- এডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু, এডভোকেট মনোয়ারুল হক আলো, এডভোকেট আমীর আলী, এডভোকেট এটিএম এরশাদুল হক চৌধুরী শাহিন ও এডভোকেট আসাদুল হক।