নিরাপত্তার স্বার্থেই সান্ধ্য আইন, কার্যকর থাকবে শীতের ছুটিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:১১ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে প্রবেশে নতুন সময়সীমা নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। কেন এই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.বি.এম জাকির হোসেন। তিনি জানান, 'হলে রাতে বহিরাগত মানুষজন প্রবেশ করে থাকে। হলের নিরাপত্তার জন্য এসব বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করতে আমরা কাউন্সিলের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি আরো বলেন, 'হলে প্রবেশের সময়সীমা সংক্রান্ত যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা শুধু শীতকালীন ছুটি চলাকালীন সময় কার্যকর থাকবে। পরবর্তীতে আবার পূর্বের ন্যায় যথারীতি হল গেইট গুলো খোলা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করি। শীতকালীন ছুটিতে নিরাপত্তার স্বার্থে এই প্রবেশসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্টভাবে শীতকালীন শব্দটা না আসায় শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে।'
গতকাল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে, গত শনিবার অনুষ্ঠিত ১৪০তম প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ছাত্রদের হলগুলোতে রাত ১১টার মধ্যে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়। আর ছাত্রীদের হলে মাগরিবের আজান হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হল ছাড়া অন্য হলে অবস্থানও নিষিদ্ধ করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি হলগুলোতে নোটিশ আকারে টাঙানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।