কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৪ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রোগীর এক স্বজন।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের টালিপাড়ার মৃত আাজিজুল হকের স্ত্রী শামসুন্নাহার গত ৭ ফেব্রুয়ারী রাতে নিজ বাড়ীতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
সেখানে ভর্তির পর হাসপাতালের এমবিবিএস কোন চিকিৎসককে ওয়ার্ডে পাননি বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন। তবে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রশিক্ষনরত ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে ছিলেন বলে রোগীর স্বজনদের নিকট থেকে জানাগেছে। সু-চিকিৎসা না পাওয়ায় ওই রোগীর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের কোন চিকিৎসককে ডেকেও পাননি। পরেরদিন ৯ ফেব্রুয়ারী সকালে ওই ওয়ার্ডে ডাঃ এসএম খসরুজ্জামান মুকুল নামের এক চিকিৎসক রাউন্ডে এসে রোগীকে দুর থেকে দেখে চিকিৎসা দেন। এর কিছুক্ষন পর হঠাৎ রোগী আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে রোগীর স্বজনরা ডাঃ এসএম খসরুজ্জামান মুকুলকে ডাকতে গেলে তিনি বলেন একই রোগী কতবার দেখবো।
আমি যেতে পারবো না। এ কথা বলে তিনি আর রোগীর নিকট যাননি। এরই এক পযার্য়ে রোগী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মারা গেলে রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ডাঃ এসএম খসরুজ্জামান মুকুল কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত শামসুন্নাহারের বড় ছেলে শেখ শাকিল আহাম্মেদ ওই চিকিৎসকের দায়িত্ব ও চিকিৎসা অবহেলায় তার মায়ের মৃত্যুর সুষ্ঠ বিচার দাবী করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এয়াড়াও তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং তাদের বাড়ীর জমিজমা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ করেছেন। তারা জানায়, ১৯৮৫ সালে মরহুম আজিজুল হক টালিপাড়ায় জমি ক্রয় করে কুষ্টিয়া পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে ৩তলা বাড়ী নির্মাণ করেন। এরপর থেকেই তারা ওই বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২০০৬ সালে ওই জমি বিক্রেতাদের এক শরিক এ্যাডভোকেট মোকারম হোসেন লাল কুষ্টিয়া সদর ভূমি অফিসের যোগসাজসে ওই জমির নাম খারিজ ভাগবন্টন করার আবেদন করে বাতিল করে দেন। এ ঘটনাটি নিয়ে মরহুম আজিজুল হক আদালতে মামলা করেন। এই জমিজমা সংক্রান্ত নানা টেনশনে তিনি গত ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী ইন্তেকাল করেন। এরপর ওই জমির মামলার পিছনে আজিজুল হকের স্ত্রী শামসুন্নার ছোটাছুটি শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারী রাতে নিজ বাড়ীতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।