খুলনা নগরীর ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:০০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে নগরীর নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খুলনার ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে সবজিসহ কৃষিপণ্য বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।
বিক্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে আজ সোমবার একজন ক্রেতা তিনশত ৯০ টাকা মূল্য পরিশোধ করে মোট তিন কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, ১২টি ডিম, একটি লাউ ও এক কেজি কচুর মুখি কিনতে পেরেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টায় নগরীর ১০টি স্থানে এই কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম একযোগে শুরু হয়। স্থানগুলো হলো: শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা সংলগ্ন স্থান, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড, খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনের স্থান, গল্লামারির কাঁঠালতলা, লবণচরা, মুজগুন্নী বাস্তুহারা, রেলিগেট ও শান্তিধাম মোড়ের জাতিসংঘ পার্ক।
উল্লেখ্য, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মাসুদ করিম গত ২৮ অক্টোবর খুলনায় ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য স্বাচ্ছন্দ্যে ও সাশ্রয়ীমূল্যে কিনতে পারে, সেজন্য এই ভর্তুকি মূল্যে পণ্যবিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের ওপর কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
সপ্তাহে সাতদিনই এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ দিকে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি করায় সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়েছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। খুলনার জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনীর বাসিন্দা মোঃ সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও মুকুল পণ্য ক্রয় করতে পেরে খুশি। তারা বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে এভাবে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের মতে সারা বছর ভর্তুকি নয়, সাময়িকভাবে চালু রাখার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং ও সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প খুচরা বিক্রেতা সৃষ্টি করতে হবে।
দিনকাল/এসএস