তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের সাজা দেয়ার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার দেশের সকল মহানগর ও জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলÑ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
ক) ভুয়া ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ১০ জন নেতাকর্মী এবং পাবনায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েশি সাজা প্রদান ও দলের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে অযথা কারাগারে প্রেরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশের সকল মহানগর ও জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
খ) সভায় আল জাজিরা টেলিভিশনে দেশ ও দেশের স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রচারিত রিপোর্ট সম্পর্কে জনমনে উত্থাপিত অনিবার্য উৎকন্ঠা অবসানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট গ্রহণযোগ্য ও বিশ^াসযোগ্য ব্যাখ্যা প্রকাশের যে দাবি বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলÑ তা এখনও না জানানোর নিন্দা জানিয়ে শীঘ্রই দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গ) সভায় এন.এস.আই এর পক্ষ থেকে বিশেষ করে বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য যে ফরম পূরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাকে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের প্রয়াস বলে চিহ্নিত করে ব্যক্তি ও রাজনৈতিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থি এমন তৎপরতা বন্ধ করার দাবী জানানো হয়।
ঘ) সভায় মায়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল ও জরুরী অবস্থা জারীর নিন্দা জানিয়ে যথাশীঘ্র প্রতিবেশী দেশের জনগণ তাদের দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত গণতন্ত্র ফিরে পাবে সেই আশা ব্যক্ত করে বলা হয় যে, বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত এক স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থাকায় গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অসহনীয় যাতনার অভিজ্ঞতা থেকেই মানায়নারের গণতন্ত্রকামী জনগণের সাথে একাত্ম। একই সাথে সভায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে এখনও অক্ষম বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আরও কৌশলী ও সক্রিয় হওয়ার জন্য দাবী জানায়।
ঙ) সভায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং কমিটি’র চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কর্তৃক প্রস্তাবিত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ অনুমোদন করা হয়।
চ) সভায় কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও অব্যহত দুর্নীতি অনাচার প্রতিরোধে সরকারী ব্যর্থতা এবং নির্বাচনের নামে ক্রমাগত প্রহসনে জনগণের ভোগান্তি ও উদ্বেগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এসব অবসানে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করে এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।