হায়রে পরকিয়া স্বামীর লাথিতে স্ত্রীর সন্তান প্রসব

একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়া স্বামীর। বার বার বাধা দিয়েও স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি স্ত্রী। এই নিয়ে স্ত্রীকে একাধিকবার মারধরও খেতে হয়েছে স্বামী আজিজের হাতে। শেষ পর্যন্ত স্বামীর মারধর ও লাথি দিয়ে দিয়ে স্ত্রীর ৫ মাসের মৃত সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে যায়।

এই ঘটনা নারারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের নতুন বান্টি গ্রামে। নির্যাতিত এই গৃহকধূকে আশংকাজনকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার নাম ইয়াসমিন (২৪)। পাষন্ড ওই স্বামীর নাম আজিজুল হক। সে নতুন বান্টি গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে। ইয়াসমিনের বাড়ি পাশের পাচঁরুখী গ্রামে।

স্থনীয়রা জানিয়েছে, পরকীয়ার জেরে অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের সময় তার পেটে লাথি দিলে স্ত্রীর ৫ মাসের বাচ্চা বের হয়ে যায়। পরে স্ত্রীকে ও পলিথিনে করে মৃত সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যান স্ত্রীর ভাই হোসেন সহ আত্মীয়রা। এসময় পালিয়ে যায় স্বামী।

ইয়াসমিনের ভাই হোসেন জানান, ১৭ বছর আগে আব্দুল্লাহর ছেলে আজিজ ও কুদ্দুসের মেয়ে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ সন্তান রয়েছে। এরপরও একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত হন আজিজ। পরকীয়ার কারণে আগেও একাধিকবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।

একই কারণে সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঝগড়া শুরু হয় দুজনের। এক পর্যায়ে স্ত্রী ইয়াসমিনকে মারধর শুরু করেন আজিজ। পরে তাকে লাথি দিলে ৫ মাসের বাচ্চা পেট থেকে বেরিয়ে যায়। এসময় দ্রুত প্রতিবেশীদের সহায়তায় স্ত্রী ও মৃত সন্তানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে যান স্ত্রীর স্বজনেরা। পরে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ইয়াসমিনের ভাই আরো জানান, আগেও আমার বোনকে মারধর করতো আজিজ। আজও তাই হয়েছে। এখন বাচ্চা মারা গেছে ও বোনের অবস্থা আশংকাজনক। ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন জানান, ৫মাসের বাচ্চা লাথির আঘাতে প্রসব হয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।