আগুনে দগ্ধ জান্নাতুলকে বাচাঁতে এগিয়ে এলেন তালতলীর ওসি কামরুজ্জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪০ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অর্থাভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জাকির তবক গ্রামের রিকশা চালক, আলম তালুকদারের এক মাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী (৭) আগুনে ঝলসে যায় শিশুটির শরীর শিশু টিকে বাঁচাতে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিল পরিবারটি। এমন একটি নিউজ প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মিয়ার, তিনি শিশুটির বিষয় অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী জন্য সাহায্য চান তালতলী থানার ওসি। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ডিএমপির,এডিসি মোঃইমতিয়াজ এবং বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মহরম আলীর মাধ্যমে তালতলী থানা পুলিশ সাহায্য প্রদাণ করে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া জান্নাতুল ফেরদৌসির রিকশা চালক বাবা আলম তালুকদারের হাতে নগদ চল্লিশ হাজার টাকা তুলে দেন এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পরে ।
আলম তালুকদার বলেন, মানুষের মত মানুষ আছে বলেই আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য স্যারেরা সাহায্য করেছে আমি দোয়া করি সকল পুলিশ স্যার দের যারা বিভিন্ন সময় গরীব ও অসহায় মানুষের বিপদে পাশে থেকে সাহায্য প্রদাণ করেন।
এ বিষয় তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশকে জনগণের সেবক, বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আমিও মানুষ হিসেবে চেষ্টা করেছি।তাদের জন্য কিছু করার।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মা অসুস্থ থাকায় তরকারি গরম করতে গিয়ে জামায় আগুন লেগে শরীরের বুক থেকে নিন্ম অংশ পুড়ে ঝলসে যায়। অসহায় রিকশা চালক পিতা এক মাত্র সন্তানের চিকিৎসার্থে আত্মীয়স্বজনের সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে ডাক্তার দেখান। পরে আর খরচ যোগাতে না পেরে ঢাকা থেকে থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন জান্নাতুল ফেরদৌসীকে নিয়ে শুরু হয় বাড়িতে তার কবিরাজি চিকিৎসা ।
বিডি ক্লিন তালতলীর টিম লিডার সহ স্থানীয় ভাবে সাহায্য নিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওখানের চিকিৎসা শেষে জান্নাতুল ফেরদৌসিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। চিকিৎসকরা তাকে ভালো ক্লিনিকে ভর্তি করার কথা বললেও টাকার অভাবে ভর্তি করাতে পারছেন না দরিদ্র পিতা। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসাবাবদ তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাদের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পুরোপুরি তাকে সুস্থ করে তুলতে এখনো প্রায় ১ লাখ টাকা দরকার ছিল । শিশুটির বর্তমানে আরো ৬০ হাজারের মত চিকিৎসা খরচ দরকার শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু জান্নাতুল ফেরদৌসির পিতা আলম তালুকদার সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোঃ আলম তালুকদার মোবাইল নং-নম্বরঃ ০১৭৩২২৯৩৮৯৩ (বিকাশ)।