সীমান্তে সতর্ক নজরদারি বিজিবির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৩ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৪ এএম, ৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
হঠাৎ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি সরকারের পতন হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থান দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নজর রাখছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের হঠাৎ পটপরিবর্তনে সীমান্তে কোনো প্রভাব পড়েনি। তার পরও বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মিয়ানমারে যে ধরনের সরকারই থাকুক না কেন, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে মরণ নেশা ইয়াবার চালান আসে মিয়ানমার থেকে। মিয়ানমারে রয়েছে অসংখ্য ইয়াবা উৎপাদনের কারখানা।
বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক। তবে অন্যান্য সীমান্তের মতোই মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের নজরদানি আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বিষয়টি দেখব।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, মিয়ানমার সব সময় এক ধরনের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই যায়। কখনো কখনো হয়তো সামনে গণতন্ত্রের কথা দেখা গেলেও দেখা যায় পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনীর প্রভাব। নতুন সামরিক সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটি একটি দেখার বিষয়।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটি বিষয়। আমরা জানি, অং সান সু চি গৃহবন্দি থাকাকালীন তার মুক্তির জন্য বাংলাদেশে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিয়ে সু চির নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে আমাদের দেশের মানুষ মনোক্ষুন্ন হন। অনেক সময় অভিযোগ পাওয়া যায়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাঠাতে সহায়তা করে থাকে। তাই নতুন সামরিক সরকারের সদিচ্ছার ওপর ইয়াবা চোরাচালানে নতুন মোড় নির্ভর করছে।
এ ছাড়া মিয়ানমারের ওপর চীনের বড় প্রভাব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মিয়ানমার একা সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কাজেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের এই পরিবর্তনকে কতটা কাজে লাগাতে পারে সেটিই এখন দেখার বিষয়।