নারায়ণগঞ্জে ৫০০ টাকার জন্য হত্যায় ১জনের মৃত্যুদন্ড ও ২জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ৩ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মিজান সিকদার মিশর হত্যা মামলায় মিঠুন এক আসামির মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে মুন্না ও চয়ন নামে আরও দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। এছাড়াও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের আরও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন, অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজা প্রদান করেন।
আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মোহাম্মদ মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় তিন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি মিঠুন বন্দর উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, একই এলাকার মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না এবং বংগার ছেলে শয়ন। হত্যাকান্ডের শিকার মিজান সিকদার মিশর বন্দর কাইট্টাখালি এলাকার মৃত.শফিউদ্দিন সিকদারের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান বলেন, রায় ঘোষণার পর আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার মিজান সিকদার মিশর গাজীপুরে একটি ডাইং কারখানায় কাজ করত। সে ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলেন।
পাওনা মাত্র ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মিজান সিকদার মিশরের সাথে তর্ক-বির্তক হয় নোয়াদ্দা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠুর। ২০১৯ সালে ২৩ জুলাই রাতে মশার কয়েল কিনতে দোকানে গেলে মিঠু ও তার সহযোগীরা মিজান সিকদার মিশরকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসিকিউশন শাওন শায়লা জানান, ঘটনার পর দিন নিহতের ভাই সানি বাদী হয়ে মিঠুকে প্রধান আসামি করে মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
আদালত দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমান শেষে মিঠুকে মৃত্যুদন্ড, মুন্না ও শয়নকে যাবজ্জীবন প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের আরও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন, অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজা প্রদান করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই সানি জানান, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এই বিচার দেখে আর কেউ কোন মায়ের বুক খালি করার সাহস না পায়।
অপরদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুন্নার মা শাহিদা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপরাধী না, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।