চট্টগ্রামে ছেলের গুলিতে মা নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৭ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
স্বামী মারা গেছেন এখনো ৪০ দিনও পার হয়নি। এরই মধ্যে নিজ ছেলের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ দিয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫৫)। মূলত মারা যাওয়ার আগে শামসুল আলম তার আড়াই কোটি টাকা এবং অন্যান্য সম্পদ লিখে না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে ছেলে মাইনুল (৩০) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নিহতের মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শায়লা শারমিন এ অভিযোগ করেন।
শায়লা শারমিন বলেন, ‘মূলত টাকা ও সম্পত্তির জন্যই আমার মাকে আমার ভাই মাইনুল হত্যা করেছে। আমার বাবা মারা গেছেন এখনো ৪০ দিন পার হয়নি। এরই মধ্যে আমার ভাই, তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং আমার এক ফুফাতো বোন আমার মাকে সম্পত্তি ও টাকার জন্য মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে বাবার ব্যাংকে রেখে যাওয়া আড়াই কোটি টাকা নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য আমার মাকে চাপ প্রয়োগ করে মাইনুল। আমার মা তাতে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে থাকা পিস্তল দিয়ে মায়ের মাথায় গুলি করে মাইনুল।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অন্য একটি কক্ষে ছিলাম। গুলির শব্দ শুনে এসে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেই। এরই মধ্যে মাইনুল পালিয়ে যায়।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘মাইনুলের গুলিতে জেসমিন আক্তার নিহত হয়েছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনার পর থেকেই মাইনুল পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, ঘাতক মাইনুলের ঘর থেকে একটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি পিস্তলের গুলির খোসাও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার গত ১৩ জুলাই মারা যান। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে শায়লা শারমিন ও ছেলে মাশফিকুর আলম মাশফী অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অপর ছেলে মাইনুল বসবাস করেন চট্টগ্রাম মহানগরীতে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মেয়ে শারমিনের সঙ্গে মা জেসমিন আক্তারের অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল।