ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রী যৌন নিপিড়নের অভিযোগে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৬ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেনীর সোনাগাজীতে এক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে মতিগঞ্জ আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি নূর নবী (৪০) কে গ্রেফতার করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামের বকু হাজী বাড়ির মৃত এনামুল হকের ছেলে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই সকাল সাতটায় কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। সাড়ে আটটার দিকে প্রাইভেট ছুটির পর রেজিস্ট্রশন কার্ডে ছবি ও ভুল সংশোধনের কথা বলে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে অফিস সহকারি নুরনবী তার কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফাইল বের করে ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপিড়ন করেন। পরদিন ২৫ জুলাই সোমবার ভয়ে ওই ছাত্রী বিদ্যালয় ও প্রাইভেট পড়তে যাননি। মঙ্গলবারও বিদ্যালয়ে ও প্রাইভেট পড়তে না যেতে চাইলে ওই ছাত্রীর মা তাকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মাকে বিষয়টি খুলে বলেন। তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার স্বজনরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অপরাপর শিক্ষকদের জানালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী সহ একাধিক শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীকে আইনগত প্রতিকার পেতে থানায় মামলা দায়ের করতে বলেন। পরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নূরনবীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করে।
মতিগঞ্জ আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অফিস সহকারিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্রীর মায়ের মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অফিস সহকারিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং ছাত্রীর মায়ের মামলায় অফিস সহকারিকে গ্রেফতার করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও তার মা ঘটনার নিশ্চিত করে বলেন, অফিস সহকারি নুরনবী শুধু ওই শিক্ষার্থী নয়, অপরাপর আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে একই কায়দায় যৌন নিপিড়ন চালিয়েছেন। ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করার পর অনেকেই মুখ খুলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ইতমধ্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে ।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।