ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতলে রোগীর স্বজনকে কোপানোর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা জেলহাজতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৪ এএম, ৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নার্স কতৃক সন্ত্রাসী এনে রোগীর স্বজনকে কোপানোর মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার জেলার এক নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুর রহমান দেবাশীষকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
দেবাশীষ নয়ন (৩২) ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্যায় বসবাস করেন। তার বাড়ি সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের আটঘর গ্রামে। তিনি ফরিদপুর সিটি কলেজ থেকে এইচ এসসি (প্রাইভেট) পাশ করেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের পূর্বতন কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ফরিদপুরের আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেন ফাইনের আনুসারী ছিলেন দেবাশীষ। দেবাশীষের বিরুদ্ধে সালথা ও ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর শহরের হরিসভা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম আহমেদের স্ত্রী হীরা বেগম ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি ২৩ তারিখ বুধবার রাতে কর্তব্যরত নার্স ইলা শিকদারের সাথে ফাহিম আহমেদের সাথে কথা কাটাকাটিহয়। এর জের ধরে নার্স ইলা শিকদার দেবাশীষ নয়নকে খবর দিয়ে ডেকে আনে। দেবাশীষ নয়ন এসে ফাহিম আহমেদের বুকে ছুরি মারে। পরে ইলা ও দেবাশীষ পালিয়ে যান।
ফাহিম আহমেদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতির্ করা হয়।
কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ফাহিম আহমেদক বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়নকে আসামি করে মামলা করেন।
পরবর্তিতে নার্স ইলা সিকদার ও দেবাশীষ নয়ন উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের আগাম জামিন নেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ২১দিনের আগাম জামিন শেষ হওয়ারপর সোমবার ইলা ও দেবাশীষ ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানায়। আদালত দেবাশিষের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে আদালত নার্স ইলার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
সুমন রঞ্জন সরকার আরও বলেন, দেবাশীষকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দ্রুত পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হবে।