না’গঞ্জে বিদেশ নেওয়ার প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ এএম, ১৭ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রূপগঞ্জের (১৮) বছরের এক তরুনী গার্মেন্ট কর্মীকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে গণধর্ষণ করে নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভূক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী বাদী হয়ে লম্পট আদম বেপারী হাজী রহিম বাদশাসহ অজ্ঞাত নামা আরো এক ধর্ষককে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং- ২৫(৩)২২)।
জানা গেছে, ১৮ বছরের এক তরুনী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার বরপা শান্তিনগর এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে বরপা ডিজনি সুয়েটার র্গামেন্টসে দীর্ঘ দিন ধরে সেলাই কাজ করে আসছে। পারিবারিক ও অভাব অনটনের কারনে গার্মেন্টস কর্মী তরুনী বিদেশ যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষন করলে ওই সময় তারেই আরেক সহকর্মীর মাধ্যমে বন্দর থানার বারপাড়াস্থ শাঁসনেরবাগ এলাকার মৃত আম্বি মেম্বারের ছেলে আদম বেপারী হাজী রহিম বাদশার সাথে পরিচয় হয়।
ওই পরিচয় সূত্র ধরে লম্পট আদম বেপারী হাজী রহিম বাদশা গত ১৩ মার্চ রবিবার বিকেলে বিদেশ নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তার বাড়িতে আসতে বলে। ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী তরুনী আদম বেপারী কথা মতে গত ১৪ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তার নিজবাড়ী বারপাড়াস্থ শাসনেরবাগ এলাকায় আসে।
এই সময় ওই গামেন্টস কর্মী ও আদম বেপারী সাথে কথা বিনিময় হওয়ার সময় হঠাৎ এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি আদম বেপারী বাড়িতে এসে হাজির হয়। বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি ওই গামেন্টর্স কর্মী কু-প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় অজ্ঞাত নামা লম্পট ব্যক্তি ও লম্পট আদম বেপারী হাজী রহিম বাদশা ওই গামেন্টর্স কর্মীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তার সাথে থাকা ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গামেন্টর্স কর্মী বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষা শেষে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গামেন্টর্স কর্মী বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষা শেষে বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গণধর্ষেন ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ধর্ষণের মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।