ফেনীর সোনাগাজীতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই-ভাতিজাদের উপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৭ পিএম, ১২ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:২০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেনীর সোনাগাজীতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই-ভাতিজাদের উপর দফায় দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে আপন সহোদর ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও আজ শনিবার সকালে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের হাবিবিয়া মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মৌলভী হাবিব উল্যাহ মিয়ার বাড়ির মাও. গোলাম কিবরিয়ার সাত ছেলে ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মো. ইয়াহিয়া প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে কুয়েতে যান। কুয়েতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে অপরাপর পাঁচ ভাইকেও তিনি সেখানে নেন। তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে পিতা ও সকল ভাইদের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেন। সম্পত্তিগুলো ভাগভেটোয়ারা করে নিতে এবং ইয়াহিয়ার মালিকীয় জমি আত্মসাৎ করতে অপর পাঁচ ভাই একাট্রা হয়ে ইয়াহিয়া ও তার সন্তানদের উপর ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে দফায় দফায় হামলা চালায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়ার বড় ছেলে আবদুল আজিজকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তারা। এ ঘটনায় ইয়াহিয়ার অপর ছেলে ফয়সল বাদী হয়ে চাচা মো. আবদুল্লাহ, মো. দাউদ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলামকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তুলে নিতে ইয়াহিয়ার সন্তানদের অব্যাহত হুমকি দেয় তারা।
আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে ইয়াহিয়ার ছেলে ফয়সল, সাহলেম ও তার পক্ষে থাকা ছোট ভাই মো. হারুনের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় তারা। এসময় ফয়সল, সাহলেম ও হারুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়া বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লোখ করে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মো. ইয়াহিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে ভাইদেরকে কুয়েতে নিয়েছি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে পিতা-মাতা ও ভাইদের নামে জমি ক্রয় করেছি। পিতা-মাতা দুইজনেই জীবীত রয়েছেন। তাদের জীবদ্দশায় সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারায় দ্বিমত পোষণ করায় এবং আমার মালিকীয় সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে আমার পাঁচ ভাই মো. ইয়াছার, মো. ইয়াছিন, মো.সোলেমান, মো. দাউদ এবং মো. আবদুল্লাহ একাট্রা হয়ে আমাকে, আমার পক্ষে থাকা সহোদর হারুনকে ও আমার সন্তানদে হত্যার উদ্দেশ্যে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চাই। সাত ভাই তিন বোনের মধ্যে ইয়াহিয়ার পক্ষে রয়েছেন তিন বোন এবং এক ভাই। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠক বসলেও পাঁচ ভাইয়ের এক ঘেয়েমিতার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মফিজূর রহমান ফেনী।