১০ বছরেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ১০ বছর আগে একটি সেতু তৈরি হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না সেতুটি। সংযোগস্থলে নামমাত্র মাটি দেয়া হলেও সেটি বন্যার পানির সঙ্গে চলে গেছে অনেক আগেই। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল দূরের কথা জনসাধারণের চলাচলেও ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ৩০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউপির এরান্দহ গ্রামের এরান্দহ-বোয়ালিয়া বিলের মধ্যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই পাশে ৬ ফুট উঁচু থাকলেও সংযোগে মাটি নেই। এছাড়া সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি ব্যবহার হচ্ছে না।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। আমরা ইউনিয়নের সুযোগ-সুবিধা ও সব সেবা থেকেও বঞ্চিত। রাস্তার অভাবে ইউনিয়ন বা শহরে কোনো জরুরি কাজ থাকলে দ্রুত সেখানে যেতে পারি না। এমনকি ফসল পর্যন্ত পরিবহন করতে পারছি না। নামমাত্র সেতু দিয়ে রাখা হলেও আমাদের কোনো উপকারে আসছে না।
তিননান্দিনার রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও স্থানীয় আশরাফ আলীসহ কয়েকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে এখানে সেতু করেছে কিন্তু সেতুর দুপাশে রাস্তা না থাকায় তা আমাদের কোনো উপকারে আসছে না। তারা আরও বলেন, তিননান্দিনা ও রামপুরা গ্রামটি নদীবেষ্টিত। এলাকার মানুষের আবাদী শস্য, ভারী মালামাল হাট-বাজারে নিতে নদী পারাপার হয়ে যেতে একদিকে সময় অপচয় হয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। আমাদের যদি কোনো জরুরি রোগী জেলা সদর ও ক্লিনিকে নিতে হয় তাহলে আমাদের খেয়া নৌকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এক কথায় আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।
নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ২০১১ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। রাস্তা না হওয়ায় সেতুটি অকেজো হয়ে আছে। আমার ইচ্ছা আছে সেতুর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ করার। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের জানিয়েছি। যদি সেখান থেকে কোনো বাজেট পাই তাহলে রাস্তা নির্মাণ করে দেব। রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর বিষয়টি আমার জানা নেই। সেতুটি আমাদের তৈরি করা না। সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের হতে পারে। তবে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) গোলাম রব্বানী ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সেতুটি ১০-১২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন মাটি দেয়া হলেও বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে ও কিছু মাটি পাশের কয়েকজন অসাধু জমিওয়ালা কেটে নিয়েছে। তবে সংযোগস্থলে মাটি দেয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। আশা করি অল্প দিনের মধ্যেই রাস্তার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।