এখনো নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাফসিয়া
না’গঞ্জে ফতুল্লায় ট্রলার ডুবির ৫দিন পর আরো ৩ লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ১০ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছে দেড় বছরের শিশু তাফসিয়া। এ নিয়ে ৯টি লাশ উদ্ধার হলো।
আজ সোমবার সকালে তাদের মরদেহ ভেসে উঠে। উদ্ধারকৃতরা হলো, এই দুর্ঘটনায় নিহত জেসমিন আক্তারের ছেলে তামিম খান (৮), উত্তর গোপালনগরের মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২২) ও বক্তাবলীর রাজানগর খাসমহল মৃত মনসুর আলীর ছেলে সামসুদ্দিন (৬৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। তিনি জানান, মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে রবিবার (৯ জানুয়ারী) ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপির চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), তার মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), চর বক্তাবলীর রাজু সরকারের ছেলে কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন (১৮) ও বক্তাবলী ইউনিয়নের উত্তর গোপালনগরের মোতালেব (৪২), চর বক্তাবলীর আওলাদ হোসেন (৩২), বক্তাবলীর হাজীপাড়ার জলিল বেপারী জোসনা আক্তার।
উল্লেখ, গত ৫ জানুয়ারি সকালে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটলে ১০ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই লঞ্চটি জব্দ করে নৌ-পুলিশ। আটক করা হয় লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০)। পরদিন ট্রলারডুবির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য। মামলায় আসামি করা হয়েছে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার, ইনচার্জ ও সুকানিকে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এম.ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৯জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়। লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মোঃ জসিম মোল্লার (৩০) দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায়