পুলিশ কোয়ার্টারে তরুণী ধর্ষণ, কনস্টেবল বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা বেষ্টনীতে ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনকে (৩২) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলায় কারাগারে প্রেরণকৃত কনস্টেবল মকবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোরতাহিন বিল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোরতাহিন বিল্লাহ বলেন, আমাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, শনিবার (৮ জানুয়ারি) ভিকটিম ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি সুধারাম মডেল থানা বেষ্টনীতে ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেন তার মা। ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো ৪ জন হলো- নোয়াখালী সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের আবদুল মান্নান (৪৯) এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নুর হোসেন কালু (৩০)।