নবাবগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) মুন্সিগঞ্জ এর আওতায় ৪শ’ ৯২কোটি ৪২লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, দোহার-শ্রীনগর-নবাবগঞ্জ এলাকা দিয়ে নির্মিত প্রায় ৭৩ কিলোমিটার মহাসড়কের “বক্সনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত” সড়কে একটি অংশে ধসে পড়ছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ঢাকায় বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যাহবাহন চলাচল করছে। মাছুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির সংস্কার কাজ করে বলে জানায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতি নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কারণেই এক বছরের মাথায় রাস্তার র্গাডার ধসে পড়েছে নদীতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৪শ’ ৯২কোটি ৪২লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত, প্রায় ৭৩ কিলোমিটারে এই সড়কে নবাবগঞ্জেরু বক্সনগর এলাকার ইছামতি নদী সংলগ্ন সড়কের একটি অংশটি ইতিমধ্যে ধসে পড়েছে। যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে রাস্তার অধিকাংশ জায়গা। প্রতিনিয়িত চলাচল করা বাস ট্রাকসহ যানবাহন বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ মেহেদী হাসান স্বপন বলেন, নবাবগঞ্জের ব্যস্ততম জনবহুল এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। দ্রুত সকড়টি মেরামত করা উচিত। তা না হলে, যেকোন সময় বড় কোন দূর্ঘটনায় প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। অটোরিকসা (সিএনজি) চালক মো. সাগর মিয়া জানান, প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি নদীগর্ভে চলে গেলে এই অঞ্চলের মানুষ ও ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ জেলার জনসাধারন, বিরাট সমস্যায় পড়বে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাতে।
সড়ক ও জনপদের (সওজ) এর অধিনে এই সড়কটির সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ ও বিভিন্ন মহলকে অবহিত করলেও টনক নড়েনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোসের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, সড়কটির ধসে যাওয়া স্থান মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বিষয়ে কাজ করবেন বলে আশা রাখি।
সড়কটির এই বেহাল দশার বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম রেজা বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমাদের দুই বছর আগে কাজ বুঝিয়ে দেন। নদীতে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারনে সড়কের কিছু অংশে সমস্যা হতে পারে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।