দাফনের ১৪ দিন পর কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সকাল ৮ টায় শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে তার মরদেহ উত্তোলন করা হবে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশগ্রাম কবরস্থানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ উপস্থিত হন। এবং থানা পুলিশ ও একজন মেডিকেল অফিসার ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় ড. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী, তার দুই মেয়ে শিউলী ও শ্যামলীসহ নিকট আত্নীয়রা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। পরবর্তিতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহান লাবিব উপস্থিত সকলকে জানান আগামীকাল বুধবার সকাল ৮ টায় ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরেরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় খুলনার খান জাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস অধ্যাপকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ৫ ডিসেম্বর গত রবিবার দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জানান। এবং খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর প্রেক্ষিতে ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়।