সীমান্তহত্যা বন্ধে চোরাচালান ঠেকাতে হবে : ভারতীয় হাইকমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৯ এএম, ১৭ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অবৈধ কর্মকান্ডের কারণেই সীমান্তহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এজন্য সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের নাগরিককেই অবৈধ কর্মকন্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপহারস্বরূপ রংপুর সিটি করপোরেশনকে দেয়া অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
হাইকমিশনার বলেন, মাদক ও চোরাচালান আমাদের উভয় দেশের সমস্যা। এনিয়ে দুই দেশের সরকার কাজ করছে। উভয় দেশ মাদক চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, সীমান্তে যে কোনো হত্যাকান্ড বা হতাহত উভয় দেশের জন্য দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। দুই দেশের সম্মিলিত পদক্ষেপে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নিরসন করতে হবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি তাদের ওপর হামলার কোনো শঙ্কা না থাকে, তবে যেন সীমান্তে কোনো অবস্থায়ই গুলি না চালায়। আমরা কোনো দেশেই সীমান্ত হত্যা চাই না।
তিনি বলেন, কোনো জীবন নষ্ট হওয়া কখনোই কাম্য নয়। সীমান্তে অবৈধ কার্যক্রম বেড়েছে। বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে উপকৃত হতে চেষ্টা করছে। সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে হলে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। চোরাচালানের কারণে সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে। তবে আগামীতে সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে ভারত সরকার সজাগ রয়েছে।
তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, দুর্বল সিগন্যালের কারণে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আগাম বার্তা দিতে পারিনি। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এ সময় নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ভারত-বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক। নতুন এ সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে নিতে এবং এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ভারতীয় হাইকমিশন পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই বন্ধন আগামীতেও অটুট থাকবে।
এ সময় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) সঞ্জিব কুমার ভাট্টি, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রংপুর নগরের মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে নির্মিত নতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ভারতীয় হাইকমিশনের অর্থায়নে ভবনটি নির্মিত হয়েছে।
এরআগে সকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। পরে বিকেলে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ব্যবসায়িক আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।