ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনে পদ্মায় জেলেদের জালে মিললো ২৬ কেজি ওজনের পাঙ্গাস

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে মিললো ২৬ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ। উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালিপুর সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে এ মাছটি ধরা পড়ে জেলেদের জালে। পরে চরভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শামসু বেপারী ২১ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। যে জেলের জালে বিরাট আকারের এ মাছটি ধরা পড়ে তাঁর নাম শেরজান মোল্লা (৫৯)। শেরজান ঢাকার দোহার উপজেলার কুশুমহাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা। মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

শেরজান মোল্লা জানান, তারা মোট ৮ জন জেলে একত্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে থাকেন। সারারাত মাছ ধরে যে টাকা হয় তা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। সোমবার দিবাগত রাতে সারা রাত ধরে নদীতে মাছ ধরলেও তেমন মাছ পাননি। এমন সময় মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে জালে হঠাৎ টান পড়ে। মনে হয় যে মস্তবড় কিছু আটকা পড়েছে। পরে কৌশলে জাল টানতে টানতে দেখা মেলে রূপালী রঙের বিরাট আকৃতির পাঙ্গাসের। মঙ্গলবার সকালে চরভদ্রাসন সদর বাজারের আড়ৎদার রফিক খানের আড়তেআনলে ২১ হাজার টাকা মূল্যে পাঙ্গাস মাছটি বিক্রী হয়।

মাছ ক্রেতা চর ভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা  বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শামসু বেপারী বলেন, এতবড় মাছ সচারাচার ধরা পড়ে না। এ মাছ তাই সবাই খেতে চাইবে। এ জন্য মাছটি দ্রুত কিনে ফেললাম।  পরে মাছটি কেটে ১২ ভাগ করে প্রতি ভাগ দুই হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় চর ভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজারে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান বলেন, অন্যান্য এলাকার পানি অপেক্ষা পদ্মা নদীর পানি মিঠা। গত বেশ কিছুদিন ধরে মাছ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। ফলে এ এলাকাটিতে মাছগুলো অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তুলেছিল। ফলে এখন এ বড়বড় মাছ ধরা পড়ছে। নদীর মাছ বরাবরই সুস্বাধু। আর পদ্মা নদীর বড় পাঙ্গাসের তার তো কোন তুলনাই চলে না।