২০১২ সালে অবসর তারপরও চেয়ার ছাড়েনি বিএডিসি অফিসের মধুসুদন!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৫ পিএম, ৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
২০১২ সালে অবসার নিয়েছেন মধুসুদন নামে এক সরকারী কর্মচারী। কিন্তু অবসরের ৯ বছর পার হলেও তিনি চেয়ার ছাড়েননি। বহাল তবিয়তে সরকারী চেয়ারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন। নিচ্ছেন মানুষের কাছ থেকে ঘুষের টাকা। এমন চিত্রি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প অফিসে। জনবল সংকটের কারণে অফিসটিতে হ য ব র ল অবস্থা চলছে। তবে মধু সুদন বলছেন, তার পদে কোন লোক নেই। তিনি ভালো বোঝেন বলেই তাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি খামারে সেচ পাম্প স্থাপন করতে হলে অনুমোদন লাগে উপজেলা সেচ কমিটির ও বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প অফিসের। এই অনুমোদন নিতে চা খরচা দিতে হয় এই অফিসের কর্মচারীদের। আইন অনুযায়ী নূন্যতম ৩০০ ফিট দুরত্বে আরেকটি সেচ পাম্প স্থাপন করা যাবে। অফিসে গিয়ে দেখা যায় ঝিনাইদহ বিএডিসির উপ সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ৯ বছর আগে অবসরে যাওয়া মধু সূদন বাবু পোড়াহাটি ইউনিয়নের একটি নতুন আবেদন নিয়ে নাড়া-চাড়া করছেন। টাকা নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছে। এই সময়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি পেয়ে প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে অন্য গল্প শুরু করেন।
মধুসুদন সাংবাদিকদের জানান, তিনি ২০১২ সালের অবসর নিয়েছেন। কিন্তু আজও তিনি সেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। ভালো কাজ বোঝেন বলে অফিস তাকে রেখে দিয়েছে। তবে এই কাজ করার জন্য অফিস থেকে কোন টাকা পান না। তিনি বেতন ভাতা না পেলেও বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা পান বলেই আজও কাজ করে যাচ্ছেন। অবসরের পরও কি ভাবে কাজ করেন এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি।
অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহজালাল আবেদিন জানান, জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতি মাসে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছি কিন্তু নতুন কাউকে নিয়োগ দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অফিস চালানোর জন্য মধু সূদন বাবুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন বলেন, তিনি ২০১২ সালে অবসর নিয়েছেন আমি তো জানিই না। কিভাবে এখনও কাজ করছেন সেটাও জানিনা। তবে বিষয়টি আমি দেখছি।