কুষ্টিয়ায় একই সাথে জন্ম নেয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে তিন শিশুর মৃত্যু; দুজনকে ঢাকায় রেফার্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৮ এএম, ৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪২ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একসঙ্গে জন্ম নেয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জন্ম নেবার ২৭ ঘন্টার মধ্যে ছেলে শিশু সহ দুটি মেয়ে শিশু মারা যায়। বর্তমানে জীবিত দুটি মেয়ে শিশুর অবস্থা আশংকাজনক এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পাঁচ শিশুর জন্মদাত্রী মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের (আরএমও) চিকিৎসক আশরাফুল আলম জানান, একই সাথে জন্ম নেয়া পাঁচটি শিশুর মধ্যে ছেলে শিশু সকালে মারা যায় বাচ্চাটির ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম এবং পরবর্তীতে দুটি মেয়ে শিশু মারা গেছে তাদের ওজনও ৫০০ গ্রামের বেশী ছিলো না। তবে বর্তমানে জীবিত দুটি মেয়ে শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। বর্তমানে মা সুস্থ থাকলেও শিশুরা ছিলো ঝুঁকিতে। যেকারণে তিনটি শিশু মারা গেছে। বাঁকী দুটি শিশু নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে।
গত মঙ্গলবার জন্ম নেয়া পাঁচ সন্তানের মধ্যে বুধবার তিনটি সন্তান মারা যাওয়ায় দুঃখ ভারাক্রান্ত বাবা সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একজন চা বিক্রেতা আমার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। হয়তো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারলে আমার সব কয়টি শিশুই বেঁচে থাকতো।
উল্লেখ্য কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী প্রসূতি সাদিয়াকে (২৪) সোমবার রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং পরেরদিন সকাল ১০ টায় প্রসূতি মায়ের ব্যাথা অনুভবের ১৫ মিনিট পরই তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। তবে মা সুস্থ থাকলেও শিশুরা ছিলো ঝুঁকিতে।