ভারতীয় ফিশিং বোট ইলিশ ধরছে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ এএম, ২৫ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ৯ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার তিনদিন আগেই গত শুক্রবার ভোররাত ৪টায় বাঁশখালী থেকে সাগরে গেছে অর্ধশতাধিক ফিশিং বোট। আরও দুই শতাধিক বোট পাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপকূলের ফিশিং বোটগুলোতে উঠানো হচ্ছে বরফ, জাল, জ্বালানি ও জেলেদের খাবার। এছাড়া গত ১০ দিন ধরে ২২টি বরফকল চালু করে রেখেছে কল মালিকরা। এদিকে নতুন উপদ্রব হয়ে এসেছে ভারতীয় ফিশিং বোট। বাংলাদেশের জলসীমানায় বিপুলসংখ্যক ভারতীয় ফিশিং বোট মাছ ধরছে- এমন অভিযোগ করেছেন মৎস্যজীবীরা।
বাঁশখালীর শেখেরখীল, চাম্বল, গন্ডামারা, ছনুয়া, বাহারছড়া, সরল, খানখানাবাদ ও কাথরিয়া ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় এই দৃশ্য চোখে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কোনোরকম বাধা নেই।
ফিশিং বোটের মালিকরা জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সাগরে প্রচুর ভারতীয় ফিশিং বোট ঢুকেছে। ওইসব ফিশিং বোট বাংলাদেশের মাছ ধরে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ এ সময় ভারতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা নেই। সরকারের উচিত দেশের ফিশিং বোট ঠেকানোর আগে ভারতীয় ফিশিং বোট ঠেকানো। তাদের আরও দাবি নিষেধাজ্ঞা আর মাত্র তিনদিন বাকি। বহুদূর গিয়ে ইলিশ মাছ ধরতে হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই যাতে মাছ ধরতে পারে সে জন্য কিছু ফিশিং বোট সাগরে যাত্রা করেছে। তা বেশি নয়।
বাঁশখালী সমুদ্র উপকূলে ৩৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রতি বছর নানা কর্মসূচি ও অভিযান পরিচালিত হয়ে এলেও এ বছর উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ জেলেরা দেখেনি বলে অভিযোগ করেছেন। যার কারণে ফিশিং বোটের মালিকরা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ভোররাতে যাত্রা করেছে।
ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সরকারিভাবে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া সরকারের আরও নিদের্শনা রয়েছে মাছ বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। বরফকল বন্ধ থাকবে। অথচ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রায় দিনই সন্ধ্যা হলেই বাঁশখালী প্রধান সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে চালান হয়েছে, যা প্রধান সড়কের বিভিন্নস্থানে ব্যক্তিগতভাবে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো তদারকি করলে স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাঁশখালী ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. এয়ার আলী বলেন, সাগরে প্রচুর ভারতীয় ফিশিং বোট মাছ ধরছে। বাঁশখালী থেকে মাত্র দু-একটা গেছে। নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতে। মৎস্য শিল্পকে বাঁচাতে হলে সরকারের উচিত ভারতীয় ফিশিং বোট বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকতে এবং মাছ ধরতে বাধা দেয়া।
বাঁশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উম্মুল ফারা বেগম তাজকিরা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা তো শেষের পথে। তাই কয়েকটি ফিশিং বোট গেছে। আর কোনো ফিশিং বোট যাতে সাগরে যেতে না পারে, সে জন্য ফিশিং বোটের মালিকদের সতর্ক করে দিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’