মুন্সীগঞ্জে আ'লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ২১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আওয়ামীলীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে জোরপূর্বক ইট-ভাটা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চর গোলগুলিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। দলীয় ক্ষমতার জোরে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (৬০) তার দুই ছেলে রুবেল (৩০) ও জাহাঙ্গীর (৩২) সহ আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), আমজাদ আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬৫), জনাল আবেদীনের ছেলে মো. ইসলাম (৫০), মৈজুদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারেকের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ই সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ইউপি চেয়াম্যনসহ ৭জন চর গোলগলিয়া মৌজারা আরএস ৩০৮নং খাতিয়ানের ৬০ শতাংশ, ৩১৪নং খতিয়ানের ৩০শতাশ, ১৫৮নং খতিয়ানের ১ একর ৪৪ শতাংশ ও ১৯৯নং খতিয়ানের ৪৬ শতাংশসহ প্রায় ৩ একর জমি জোরপূর্বক জবর দখল করেছেন। সেই সম্পত্তিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ইটখোলা নির্মাণ, মাটির স্তুপ, ইট তৈরি, চুল্লি নির্মাণ ও শ্রমিকদের থাকার ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেন ।
ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে আমরা একটি ইটভাটার কাছে আমাদের জমি ৩ বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেই। তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তার চলে যায়। আমরা আমাদের জমিতে পুনরায় ফসল বোনার উপযোগী করে তুলি। বর্তমানে সেখানে বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। আমাকে ইট ভাটার জন্য ভাড়া দিতে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে এবং মারধর করতে আসে। এখন আমর জমিতে তার জোরপূর্বকভাবে ইটভাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং কোর্টে মামলাও করেছি। কোর্ট থেকে সেখানে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার জমিটা গিলে ফেলার চেষ্টা করছে যে কোন সময় তারা আমার জমিটা জবর দখল করে ফেলবে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে ২০ বছর ধরে ইটের খোলা চলে। আজিজুলের মাঝখানে ১০ শতাংশ জায়গা কিনে খোলা বন্ধ করে ফেলতে চায়। এইসব এখানে চলবে না। মানুষের কোটি কোটি সম্পদ সে ১০ শতাংশা জায়গা কিনেই বন্ধ করে দিবে এটা হবে না। এখানে আজিজুলের কোন জায়গা নেই। আমি সব ভাড়া নিয়ে নিছি। ১২ জন মালিকের থেকে ১২টা প্লট ভাড়া নিয়ে নিছি। কোর্টের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা তাকে ৬২টা করতে বলেন। মামলা করে যদি কিছু করতে পারে সে যেন করে।