সুনামগঞ্জে মামা ও ভাগিনা বৌসহ ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ৪ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সুনামগঞ্জে মামা ও ভাগিনা বৌসহ ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ২দিনে পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ভাগিনা বৌয়ের জানাজায় গিয়ে মামার মৃত্যু হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতরা হলো- জেলার মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল হক (৬৫), তার ভাগিনা ইউপি সদস্য ডালিম মিয়া স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৭), দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের কর্ণগাঁও গ্রামের শিশু রিফাত মিয়া (৭), একই উপজেলার চরনারচর গ্রামের জেলে হায়াতুন মিয়া (৪৫) ও ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মোশাহিদ মিয়ার ছেলে জেলে তোফায়েল মিয়া (১৬)।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় জেলার মধ্যনগর থানা চত্বরে ভাগিনা ইউপি সদস্য ডালিম মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগমের জানাজায় এসে মামা ফয়জুল হক জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত বলে ঘোষনা করে। এর আগে গতকাল (৩ অক্টোবর) রাত ৮টায় ভাগিনা বৌ খাদিজা বেগমের মৃত্যু হয়। ধারনা করা হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা জনিত কারণে তারা দুজন হ্নদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অপরদিকে গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে দিরাই উপজেলার কর্ণগাঁও গ্রামে শিশু রিফাত তার পরিবারের অগোছে বাড়ির পাশর্^বর্তী পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর পুকুরের পানিতে ওই শিশুটির লাশ ভেসে উঠলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এরআগে ভোরে একই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের কালিয়ারগোটা হাওরে নৌকা দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয় জেলে হায়াতুন মিয়া ও তার সহযোগী ইসহাক মিয়া। পরে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জেলে হায়াতুন মিয়াকে মৃত বলে ঘোষনা করে। আর আহত জেলে ইসহাক মিয়াকে ভর্র্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অপরদিকে একই ভাবে নৌকা দিয়ে রাত অনুমান সাড়ে ৮টায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি হাওরে চাচার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জেলে তোফায়েল মিয়া।
ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন, দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান ও মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার সাংবাদিকদের পৃথক ঘটনায় মামা, ভাগিনা বৌ ও শিশুসহ ৫জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।