ধামইরহাটে শিক্ষার্থী আনারুলের আঙ্গুল কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নওগাঁর ধামইরহাটের অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থী আনারুল ইসলামের ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কেটে নেওয়ার অপরাধে জড়িত চাঁদাবাজদের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ধামইরহাট উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ক্যান্টিন মোড়ে সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ এর অংশ গ্রহণে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এলাকাবাসীসহ ৩ শতাধীক শিক্ষার্থীরা অংশ্রগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার চকউমর পাটারীপাড়া গ্রামের অসহায় নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আনারুল ইসলাম (২২) সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। পরে ২০১৮ সালে জয়পুরহাট পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে সেখানে চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত লেখাপড়া করেন।
পরবর্তীতে সেখান থেকে বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এ পঞ্চম সেমিস্টারে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্ততি গ্রহণ করেন। পরে বগুড়া পলিটেকনিক্যালের এর পাশে এতিমখানা সংলগ্ন একটি মেস ভাড়া করেন। সেখানে থাকাকালীন সময়ে দুজন সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মেধাবী শিক্ষার্থী আনারুল ইসলামের মধ্যযুগীয় কায়দায় ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কেটে নেয়। তারই দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহমান সাবু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, কাউন্সিলর আলতাব হোসেন, ছাত্র নেতা আবু সুফিয়ান হোসাইন, শিক্ষক আনিছুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম লিটন, রাশেদ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হোসেন, শাকিব হোসেন, মুন্না প্রমুখ।
এসময় আনারুল ইসলামের সাথে যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে তার বিচার দাবি করে ঘটনায় জড়িত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।