প্রাথমিকের শিক্ষকরা বাড়ি বসেই পাচ্ছেন অবসর উত্তর ছুটি ও পেনশনের সুবিধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:০৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রাথমিকের শিক্ষকদের পেনশন মানেই ভোগান্তি আর অফিসে ঘুরে ঘুরে জুতা সেন্ডেলের তলা ক্ষয়। শিক্ষকদের এরকম হয়রানী ও ভোগান্তি এক সময় নিত্য সঙ্গী ছিল। কিন্তু ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এখন অবসর উত্তর ছুটি ও পেনশনে ফাইল আগেই মঞ্জুর করা হচ্ছে। এ জন্য শিক্ষকদের ঘুরতে হচ্ছে না। ই-নথি ব্যাবহার করে দ্রুত উপজেলায় পৌছে যাচ্ছে শিক্ষকদের অবসর উত্তর ছুটি ও পেনশন সেবা। বিশেষ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম যোগদানের পর থেকে হয়রানী মুক্ত এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। শিক্ষকরা বাড়ি বসেই পাচ্ছেন অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) ও পেনশনের সুবিধা। এমন একজন শিক্ষক হচ্ছেন শৈলকুপার ভাটবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ম. আকবর আলী। তিনি আগামী ৭ অক্টোবর তারিখে অবসর উত্তর ছুটিতে যাবেন, কিন্তু তার আগেই তার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রোববার শিক্ষক আকবর আলীর ফাইলে সাক্ষর করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। মহেশপুর উপজেলা কুড়িপোল গ্রামের মিজানুর রহমান অবসর গ্রহন করবেন পহেলা অক্টোবর ২০২১। কিন্তু ২১ দিন আগেই তার অবসর উত্তর ছুটির ফাইল রেডি হয়ে গেছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এরকম ১২০ জন শিক্ষকের অবসর উত্তর ছুটির সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে পেনশনের সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। প্রাপ্যতার আগেই শিক্ষকদের পেনশন মঞ্জুর করে দিচ্ছেন। কোটচাঁদপুর উপজেলার কামারকুন্ডু সরকারী প্রাথমিকের শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, প্রাপ্যতার আগেই তিনি পেনশন সুবিধা পেয়ে গেছেন।
তিনি বলেন এতো বছর সরকারী চাকরী করে শেষ বয়সে হয়রানী ও ভোগান্তি মুক্ত পেনশন পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। একই কথা জানান, আরহেরা প্রাথমিকের শিক্ষক সাজেদা খাতুন, হরিণাকুন্ডুর এনামুল হক, কালীগঞ্জের সুনিল কুমার বিশ্বাস ও শৈলকুপার আজিজুর রহমান। এ সব শিক্ষকরা জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম যোগদানের পর থেকে জেলা শিক্ষা অফিসের চিত্র পাল্টে গেছে। অবসর উত্তর ছুটি ও পেনশন সেবা পেতে কোন হয়রানী নেই। বরং আগেই পেয়ে যাচ্ছেন সব সুযোগ সুবিধা। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। তিনি বলেন দেশে তথ্য প্রযুক্তির অভুতপুর্ব উন্নতি সাধন করেছে। মুলত সেটা ব্যবহার করেই শিক্ষকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। শেষ বয়সে শিক্ষকরা যাতে হয়রানী ও ভোগান্তিমুক্ত সুবিধা পান সে ব্যবস্থাই তিনি করে যাচ্ছেন।