চট্টগ্রামে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভবন মালিককে হত্যা

চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই ভবনের মালিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে নগরীর খুলশী থানাধীন জালালাবাদ এলাকা থেকে নেজাম পাশা নামের ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকে ভবনের কেয়ারটেকার হাসান পলাতক রয়েছেন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নিহতের স্বজনরা জানান, ২০১৯ থেকে নগরীর জালালাদ এলাকায় সাত তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন নিহত নেজাম পাশা। নির্মাণ কাজ দেখাশোনার জন্য তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি থেকে হাসানকে নিয়ে এসেছিলেন। গতকাল বিকেল ৫টায় আসরের নামাজ পড়ে বের হবার পর নেজাম পাশার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্বজনরা আরও জানান, বিকেল ৫টার পর নেজামকে হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ভবনের কেয়ারটেকার হাসানকে ফোন দেওয়া হলে সে অসংলগ্ন কথা বলছিল। পরে ভোররাতে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে উলঙ্গ অবস্থায় নেজাম পাশার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার দিয়ে তার লুঙ্গি দিয়ে হাত-পা বাঁধা ছিল।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিভিন্ন সময় ইট-বালি কিংবা ভবনের রঙয়ের কাজ দেওয়ার জন্য মালিকের সঙ্গে ঝগড়া করতেন কেয়ারটেকার হাসান। তাকে ভবনের কাজ না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি।

কেয়ারটেকার হাসানকে পাওয়া গেলে পুরো ঘটনাটি জানা যাবে বলে জানান স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরফাতুল ইসলাম জানান, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে নেজাম পাশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়া গেলে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যাবে। ঘটনার পর থেকেই কেয়ারটেকার হাসান পলাতক রয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ও হাসানকে আইনের আত্ততায় আনতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পিছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।