রংপুরে মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ অফিসারের মৃত্যু, গ্রেফতার-১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৪ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
রংপুর মেট্রোপলিটনের হারাগাছের সাহেবগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত এএসআই পিয়ারুল ইসলাম মারা গেছেন।
আজ শনিবার তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মারা যান। এঘটনায় পুলিশ নগরীর বাহার কাছনা এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ রহমান পলাশকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। রাত থেকে দিন অবধি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। অকুতোভয় সহকর্মীকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ হারাগাছ থানা পুলিশ সদস্যরাও।
এদিকে এএসআই পিয়ারুল ইসলামের মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিন্দ্যানন্দ চন্দ্রপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টু মিয়ার ছেলে। তার বাবা স্থানীয় চন্দ্রপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে পিয়ারুল সবার বড়। পিয়ারুল দুই ছেলে সন্তানের বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানাধীন সাহেবগঞ্জ এলাকায় এএসআই পিয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ পলাশকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। পলাশ তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এএসআই পিয়ারুলের বুকে ও পেটে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পিয়ারুল অন্য পুলিশ সদস্যদের হাতে পলাশকে তুলে দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিয়ারুলকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অস্ত্রপচার শেষে পিয়ারুলকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থা শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তারা। পিয়ারুলের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলের বয়স ৪ বছর ও ছোট ছেলের বয়স ২ বছর ।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশানর (ডিবি) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বলেন, মাদক বিরোধী ওই অভিযানে পিয়ারুল ১৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। আহত পিয়ারুলকে বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। শনিবার সকালে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পিয়ারুলের মৃত্যু গোটা মেট্রোপলিটন পুলিশ শোকাহত। আইনগত ব্যবস্থাগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পিয়ারুল একজন চৌকস ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় তার অনেক দক্ষতা ছিল।