শরণখোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
শরণখোলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসতবাড়িতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০ সেপ্টেম্বার (সোমবার) শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১টিতে চেয়ারম্যান পদে ও ৩৫টি ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তর সাউথখালীর ৫ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মো. আলামিনের নেতৃত্বে ইউসুফ মোল্লা, হাফেজ মীর, সিদাম গাজী, আউয়াল হাওলাদার, নুরজাহান বেগম, জাকির পহলান, জলিল খা, ছগির শাহ, খলিল পহলান, মালেক হাওলাদার ও প্রার্থী আ. হালিম খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১০/১২ বাড়িতে হামলা করা হয়। এ হামলায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। সাবেক ইউপি সদস্য মো. আ. হালিম জানান, আমার কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও প্রত্যেকের ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সদ্য নির্বাচিত প্রার্থী মো. আল আমিন ও তার সমর্থকরা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অন্যদিকে, উপজেলার জিলবুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, বগী, শরণখোলা ও তাফালবাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-পুরুষসহ প্রায় ৪০ জন গুরুতর আহত হয়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাউথখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন ইসমাইল হোসেন খলিফার ছেলে যুবলীগ নেতা রুবেল খলিফাসহ ৭ জনের অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. আল-আমিন খান তার এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের বিষটি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, নির্বাচন ঘিরে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ও এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।