তদন্তে গিয়ে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মারামারির ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন এক নারী। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। সম্প্রতি সেই নারী ১০ মাসের সন্তানকে নিয়ে চলে গেছেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ওই নারীর স্বামী গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি (অভিযোগকারী) স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন। একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর স্ত্রী গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তভার পড়ে থানার এক উপপরিদর্শকের (এসআই) ওপর। মামলার তদন্তের প্রয়োজনে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, ওই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নানান প্রলোভন দেখান। তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
লিখিত অভিযোগে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও দুজনের মধ্যে যোগাযোগ হতে থাকে, যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। একপর্যায়ে আমি বিষয়টা পর্যালোচনা করি এবং আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জারে উভয়ের মধ্যে যে কথোপকথন হয়, তার প্রমাণ পাই। তাতে আমি বুঝতে পারি যে ওই এসআই বিভিন্নভাবে আমার স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিজের সংসার (আমার) করতে নিরুৎসাহিত করছেন।’
অভিযোগে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় কন্যাকে (১০ মাস) সঙ্গে নিয়ে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং বড় মেয়েকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি (শ্বশুরবাড়ি) মাগুরায় বেড়াতে যায়। কিন্তু গত ১৮ আগস্ট থেকে স্ত্রী আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মোবাইল ফোনেও আমার (স্বামীর) নম্বর ব্লক করে রেখেছে। পরে স্ত্রীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট উদ্ধার করে দেখি, স্ত্রী ও এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
এ কারণে নিরুপায় হয়ে ওই ব্যক্তি গত ৩১ আগস্ট গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আমিনুল ইসলামকে।
গতকাল শুক্রবার অভিযোগকারী বলেন, ‘এসআই আমার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গেছে। এ কারণে আমার দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত আছি। বর্তমানে বড় মেয়ে আমার কাছে। ছোট মেয়ে ও স্ত্রীর হদিস পাচ্ছি না।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় এসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।