বজ্রপাত প্রতিরোধে 'হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা' গ্রুপের তাল বীজ রোপণ অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রকৃতির নিয়ম রোধের কারো ক্ষমতা না থাকলেও পৃথিবীর ভারসম্য রক্ষাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বজ্রপাতের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে তালগাছ।
সেই ভাবনা থেকেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, বজ্রপাত প্রতিরোধ এবং রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তাল বীজ রোপণ কর্মসূচি পালন করেছে 'হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা' গ্রুপ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার হেলেঞ্চা-পাকুড়িয়া সড়কের দু'পাশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বানা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজ ইসলাম খোকন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর, উপজেলা ক্যাবের সভাপতি কবীর হোসেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি শাহারিয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিটু মোল্যা, দৈনিক ঢাকা টাইমস পত্রিকার প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনিরুল ইসলাম, মিয়া রাকিবুল, তরিকুল ইসলাম তৌকির, এইচ এম মামুন, আসিফ সিকদার, গোলাম কিবরিয়া ও সংগঠনটির সদস্য আকিদুল সিকদার প্রমুখ।
সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, 'তাল গাছের বীজ লাগানোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো বজ্রপাত থেকে গ্রামের কৃষকদের বাঁচানো এবং একই সাথে পরিবেশ রক্ষা করা। বর্তমান বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে, যাকে বজ্রপাতের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বজ্রপাত সাধারণত উঁচু জায়গায় ঘটে। তাই স্থানীয় প্রযুক্তি হিসেবে তাল গাছকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাল গাছ তাপমাত্রা কমিয়ে বাতাসকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া তাল গাছ গ্রামের মানুষদের ছায়া, ফল, জ্বালানি ইত্যাদির চাহিদা মেটায়। তাই আমরা সতর্কতার অংশ হিসেবে তাল বীজ রোপণ করছি। প্রতি বছর আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।'
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা গ্রুপের পথচলা শুরু। প্রতিষ্ঠালগ্নের শুরু থেকেই সংগঠনটি একের পর এক সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পালন করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।