মধুমতি নদীর হুমকির মুখে আলফাডাঙ্গার চরখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
এবার মধুমতি নদীর হুমকির মুখে পড়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের চরখোলা বাড়িয়া আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা।
৪টি গ্রামের মতামতের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের জানুয়ারী মাসে ১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্থাপন করেন বোয়ালমারী সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মোঃ ছানোয়ার খান। মাদ্রাসাটির নাম করন করেন তারই সহদর সদ্য (সাবেক) ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নড়াইল শাহাবাদ মাজিদিয়া আলিয়া কামীল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। ৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টির নাম করন করা হয়। এন,বি,ডি,সি আল-হেরা দাখিল মাদ্রসা। অর্থাত এন, এ নোয়াখোলা,বি,তে বানা,ডি,তে দিগনগর এবং সি,তে চর খোলাবাড়িয়া।
একই স্থানে রয়েছে একটি মোকসেদ মোল্যা এতিম খানা হাফেজিয়া মাদ্রাসা, একটি পোষ্ট অফিস, তার ৩শ মিটার দুরে রয়েছে চরখোলা বাড়িয়া সরকারী গ্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্শবর্তি দিগনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ দু’টি বিদ্যালয়ও রয়েছে মধুমতি নদীর হুমকির মুখে। উক্ত বিদ্যালয় দুটি থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা ওই মাদ্রাসায় মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। যদি এই দূর্গম চর অঞ্চলের একমাত্র মাদ্রসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি মধুমতির করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যায়। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে ওই এলাকার নারীরা।
উল্লেখ্য গত১৫ আগষ্ট মধুমতি ভয়াবহ রুপ ধারন করে একই দিনে ওই গ্রামের ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি গ্রাস করে। এ নিয়ে গত (১৬আগষ্ট) দৈনিক দিনকাল অনলাই নিউজ পোর্টালৈ এবং গত (১৭আগষ্ট) দৈনিক দিনকাল পত্রিকার শেষ পৃষ্টায় মধুমতির করাল গ্রাসে এক দিনে একই গ্রামের ১০টি পরিবার নদীগর্ভে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে এন,বি,ডি,সি আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসার পদাধিকার বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদ এলাহী দিনকালকে বলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি রক্ষায় বাঁধ নিমার্ণের জন্য উর্ধত্নন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপার মাওঃ আব্দুর রব বলেন এ ভাবে নদী ভাঙ্গন চলতে থাকলে মাদ্রাসাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আর এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি অতিদ্রুত নদীতে বাধঁ নির্মাণেরও দাবী জানান।
প্রতিদিনই নদীভাঙ্গনে লন্ড ভন্ড হচ্ছে গ্রামটি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর দাবী এই দূর্গম চরঅঞ্চলের বিশেষ করে নারীদের মাধ্যমিক শিক্ষার এক মাত্র অবলম্বন এই মাদ্রাসাশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিসহ সকল স্থাপনা রক্ষায় জরুরী ব্যবস্থা নেবেন।