দৌলতদিয়ায় ফেরি পারের অপেক্ষায় শতশত যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৩ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পানি বেড়ে যাওয়ায় পদ্মায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোতের। এ কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ।
আজ শনিবার সকালে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ মোড় এলাকার ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা যায় দীর্ঘ যানবাহনের সারি। এছাড়াও দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কেও রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ জট।
ঝিনাইদহ থেকে আসা কাভার্ড ভ্যান চালক রফিক বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ২ দিন আগে এসেছি। আজ এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আরেক চালক মনসুর খা জানান, গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে ঘাট এলাকায় আসলেও ফেরিতে উঠতি পারি নাই। জ্যামে আটকে আছি। আর এখানে হোটেল, বাথরুম না থাকায় আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।
যশোর থেকে কাভার্ড নিয়ে আসা চালক মো. সামসুল হক বলেন বলেন, রাত ১টার সময় ফেরিঘাটে আসলেও এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে। এই নৌপথে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
ফরিদপুর থেকে আগত আরেক ট্রাকচালক শিমুল বলেন, এই দীর্ঘ জটে আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই। এই নৌপথে এমন জট মাঝে মাঝেই দেখা যায়।
ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আটকে থাকা পটুয়াখালী থেকে আসা করিম সরদার বলেন, এই জায়গায় না আছে আমাদের বিশ্রামের জায়গা। না আছে খাবার হোটেল, শৌচাগার। এই ঘাটটিতে কিছু ঘটলেও ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। একই স্থানে আটকে থাকা মাগুরা থাকে আসা চালক সাগর শেখ জানান, ঘাটে যদি একটি টার্মিনাল থাকতো তাহলে আমাদের এতটা বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী বৃষ্টি আক্তার জানায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি বন্ধ থাকায় এদিক দিয়ে আসা যাত্রীদের তীব্র যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে এই ভ্যাপসা গরমে বাচ্চাকে নিয়ে বাসের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাচ্চাও খুব কান্নাকাটি করছে গরমে। সাতক্ষীরা থেকে আগত সোহাগ পরিবহনের চালক সোহান জানান, ঘাট এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় এই যানজটে বসে থেকে ঝিমুনি চলে আসে। এরফলে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এর ফলে স্রোতের বিপরীতে ফেরি আসতে সময় লাগছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে আমাদের অনেকগুলো ঘাট সরাতে হয়েছে। এখন ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে এই যানজট কেটে যাবে।