মুরাদনগরে চাদাঁ না পেয়ে নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৭ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
চাদাঁ না পেয়ে ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে বিল্ডিং ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরূপায় হয়ে বিষয়টির ব্যাপারে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গেলে ভূক্তভোগি মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুতেই একটি মহল খাস জায়গায় বিল্ডিং করার অজুহাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি মহল রড, সাবল, হাতুরী ও লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় দুইজন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়।
হামলায় নেতৃত্ব দেন- একই গ্রামের মৃত তুজু মেম্বারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে সফিক মিয়া প্রমুখ। হামলাকারীরা গ্রেন্ডার মেশিন দিয়ে পিলার কেটে নির্মানাধীন বিল্ডিং মাটিতে মিশিয়ে দেয়। পরে ঘরে ঢুকে স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। ঘটনাটি ভিডিও করায় বাড়ির মহিলাদের উপরও হামলা চালিয়ে কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে এবং ৩টি মোবাইল কেড়ে নেয়। তখন বাড়ির শিশু বাচ্চারা ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বাড়ি ভাংচুর করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাদাঁ দাবি ও ঘরে ঢুকে লুটপাট করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার নির্মানাধীন বিল্ডিং ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূক্তভোগিরা ৯৯৯-এ কল দিলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে এ ভাবে ভাংচুর করা সঠিক হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।